• ঘরের মেয়ে,ঘরে ফিরে এলো, মনুষ্যত্যের জয় হলো




     সিলেট এম.সি. কলেজের পরীক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিস, দীর্ঘ দুইমাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে, সুস্থ ভাবে ঘরে ফিরে এলেন।
    যার সুস্থতার পিছনে জনগণ, চিকিৎসক, এবং সরকারসহ অসংখ্য মানুষ এর অবদান অনিস্বীকার্য।

    খাদিজা বলেন, সবাই যদি সহযোগীতার হাত না বাড়াতেন, তাহলে হয়তো তিনি সুস্থভাবে বাসায় না ফিরতে পারতেন। সেই সাথে তিনি, মহান রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করেন।



     গত অক্টোবর, সুন্দর জীবন গড়ার প্রত্যয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে গিয়ে তার জীবনে নেমে আসে এক মর্মান্তিক অধ্যায়। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে।  পরীক্ষা শেষে যখন বাসায় ফিরে যাবেন, তখন এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত শিক্ষার্থী বখাটে বদরুল আলমের আক্রমনের শিকার হন খাদিজা প্রেম প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় নরপশু বদরুল তাকে জনস্মুখে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। চাপাতির কোপ পড়ে, রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে আশপাশের মানুষ এই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করলেও খাদিজাকে সাহায্য করার জন্য প্রথম অবস্তায় কেউ এগিয়ে আসেনি। কিন্তু বদরুল যখন খাদিজাকে আহত করার পর পালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক ওই সময় খাদিজার সাহায্যে এগিয়ে আসেন ইমরান কবির। তিনি আরো দু-তিনজনের সাহায্যে তাকে নিয়ে যান ওসমানী হাসপাতালে। সেখান থেকে সেদিন রাতেই খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। গ্রেফতার হয় বদরুল। এই ঘটনা নিয়ে গরম হতে থাকে সোস্যাল মিডিয়া প্রতিবাদের জড় উটে দেশে বিদেশে।  


    দাবি উঠে বদরুলের ফাসির। চারদিক থেকে ধিক্কার জানানো হয়, আর পাশাপাশি খাদিজার সুস্থতা কামনায় পার্থনা করা হয়। অবশেষে সুচিকিৎশার পর খাদিজা আক্তার নার্গিস মৃত্যুকে জয় করে সুস্থভাবে মায়ের নীরে ফিরে এলেন....!
    হ্যা, খাদিজা ফিরে এসেছে, মৃত্যুকে জয় করে সে ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। কিন্তু আপনি জানেন কি,এই রকম লক্ষ লক্ষ খাদিজা, বাংলাদেশের প্রতিটি দ্বারপ্রান্তে, প্রতিনিয়ত  নির্যাতিত হচ্ছে। যাদের অনেকের খবর আমরা জানিনা বা রাখিনা।

    আমাদের সবাইকে এই রকম হাজার ও খাদিজার পাশে দারাতে হবে। তা না হলে ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর অষ্টম শ্রণীর স্কুল ছাত্রী ছুরাইয়া আখতার এবং কুমিল্লা ভিক্টরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু'র মত হাজারো খাদিজার প্রাণ এইভাবে নীরবেই চলে যাবে।

    বদরুল-খাদিজা আমাদের সমাজের জন্য একটি হৃদয়বিদারক কলংজনক অধ্যায়। এধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায়ই ঘটছে এসব থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। খুজে বের করতে হবে এই অবক্ষয়ের কারণ, খুজতে হবে তার প্রতিকার।
    . নৈতিক শিক্ষার অভাবঃ সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের নৈতিকতার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মনুষ্যত্ব জাগরনে নৈতকতা অপরিহার্য। যা আমাদের পরিবার থেকে একমাত্র শিক্ষা নেওয়া উচিত।
    . উপস্থিত জ্ঞান বৃদ্ধি করতে হবেঃ খাদিজা হয়ত নিজেকে রক্ষা করতে পারতো,  যদি সে তার উপস্থিত মেধাকে কাজে লাগাতে পারত।
    .রাজনীতির অপব্যবহাররাজনীতির অপব্যবহার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
    .ভাল বন্ধু-বান্ধব নিরবাচনঃ.ভাল বন্ধু-বান্ধবের সংস্পর্শে থাকা।  তাহলে তাদের কাছে থেকে সুপরামর্শ পাওয়া যাবে।
    . অবিভাবকদে খেয়াথাকাঃ অবিভাবকদের তাদের ছেলে মেয়েদের প্রতি বন্ধ সুলভ আচরণ এব খেয়াথাকতে হবে।
    তাহলেই,আমাদের সমাজ থেকে এই ধরনের সামাজিক অবক্রুধ করা সম্ভব 
  • 2 comments: