• যদি অস্ত্রহাতে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে আসে, প্লিজ খাদিজা মেনেজ করে নিস"

    বহুল আলোচিত খাদিজার ফেরা আমায় খুশি করতে পারে নি । অবাক হওয়ার মত মনে হলেও আমার কাছে এটাই সত্য । আপনিও আমার সাথে একাত্ততা পোষন করবেন ।           


    “খাদিজা-বদরুল” আমাদের সমাজের জন্য একটি হৃদয়দিয়াক ও কলংজনক অধ্যায় । এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে হর-হামেসাই ঘটছে । মিডিয়ার কল্যাণে হয়তো এক খাদিজার গল্প উঠে এসেছে আমাদের মাঝে, কিন্তু মিডিয়ার অন্তরালে কত হাজার খাদিজা রয়েগেছে তার সংখ্যা নির্নয় করা আদ্য সম্ভব নয়।

    প্রিয় পাঠক, নিজেকে একটিবার প্রশ্ন করুন, আপনার পরিচিত মহলে এমন কেউ কি নেই যে প্রেমের প্রস্তাব পত্যাখান করার কারণে ধর্ষিত হয় নি ? যৌন হয়রানির স্বীকার হয় নি? আপনার পরিচিত মহলে এমন কেউ কি নেই যে,যাদের পড়াশুনাই বন্ধ হয়ে গেছে এই প্রেম প্রস্তাব পত্যাখান করার কারনে ? আপনার পরিচিত মহলে এমন কেউ কি নেই যে এসব সহ্য না করতে পেরে আত্যহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ? এমন কেউ কি নেই যার ফ্যামিলি আজও হুমকির মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে? এমন কেউ কি নেই যে,প্রেমের পস্তাব পতাখ্যান করায়, আজও তার বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না? নিশ্চয়ই খুজে পেয়েছেন নাম না জানা অনেক খাদিজাকেই, যারা আজও ফিরতে পারে নি।



    আমি আপনাদের কিছু ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছি যা আপনারা সবাই জানেন । খাদিজার ঘটনাটা ঘটার কিছু দিন আগেই হত্যা করা হলো তনুকে । কি ছিল তার অপরাধ ? বিষয় একটাই, প্রেমের প্রস্তাবে অস্বীকৃতি । নিরাপদ বেষ্টনীতেই তার জীবন নিয়ে নেয়া হয়েছিল । এই ত কিছু দিন পূর্বে সিলেটের দক্ষিন সুরমা উপজেলায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে মারাত্মক ভাবে যখম করা হয়, এই প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করা হয় । দর্জির হাতে ৮ম শেণীর ছাত্রি খুন। এসব আসলে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা । এভাবে হাজারও খাদিজা ঝরে পড়ছে, ধর্ষিত হচ্ছে , মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আমাদের এই সভ্য সমাজে । যা হয় তো মিডিয়ায় বেসে বেড়ায় না,  কিন্তু আমার আপনার চুখে সামনেই ঘটছে এই ঘটনা প্রতি নিয়ত। ক্ষমতার অপব্যবহারে ফলে অধিকাংশ অপরাধীরাই শাস্তির আওতায় আসে না।  আবার শতশত খাদিজা নিজেই মুখ খুলে না লোকলজ্জার ভয়ে। যার ফলে প্রতি নিয়ত আমাদের সভ্য সমাজ কলংকিত হচ্ছে,  আর বাড়ছে খাদিজাদের সংখ্যা।

    আসুন সচেতন হই, এক খাদিজা নয় হাজারও খাদিজার পাশে দাড়াই, সাধারণ শিক্ষার পাশা পাশি নৈতিকা শিক্ষা বিকাশ ঘটাই আমাদের ছাত্র সমাজে । রাজনৈতিক অপব্যবহার বর্জন করে অপরাধিকে আইনের আওতায় আনয়নে সর্বদা চেষ্টা অব্যহত রাখি। ভাল বন্ধ-বান্ধবের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করি , তাহলে তাদের কাছ থেকে সুপরামর্শ পাওয়া যাবে।অবিভাবকদের আরও মনযোগি হতে হবে তাদের ছেলেমেয়েদের উপর।

    আর most important  বিষয় হল যে, উপস্থিত বুদ্ধি বৃদ্ধি করতে হবে । বিশেষ করে বর্তমান সময়ে তরুনীদের এই গুনটা থাকা জরুরী ।খাদিজা হয়তো বেচে যেতে পারতো সেই দিন, যদি প্রেম বস্তাব মেনে নিত। পরে না হয় পরিবারকে বলত পারতো সব কিছু।

    আমি হয়ত খাদিজাকে বাচাতে পারছি না, তাই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি,যদি অস্ত্রহাতে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে আসে, প্লিজ খাদিজা মেনেজ করে নিস" 
    তাহলে অন্তত জীবন দিতে হবে না মানুষরূপী চতুষ্পদী কাপূরুষদের হাতে। 
    Written BY  MD.Ziaul Haque


    recommended:মোশন সেন্সর লাইটের ব্যবহারঃ
  • 0 comments:

    Post a Comment